চাকরি সূত্রে স্বাভাবিক নিয়মে দেশের বিভিন্ন জেলায় বদলি হন বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কবির হোসেন পাটোয়ারী। কিন্তু বদলি হওয়ার পর প্রতি জেলাতেই অন্তত একটি বিয়ে করেছেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর বরিশাল নগরীর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে যখন তার ১২ স্ত্রী একত্রে মানববন্ধন করেন, তখনই বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, এই ১২ জনই নয়, আরও পাঁচজন স্ত্রী রয়েছে তার।
স্বামীর অফিসের সামনে এভাবে জড়ো হয়ে, ব্যানারসহ দাঁড়িয়ে স্ত্রীদের মানববন্ধন ও নারী বিষয়ক নানা কুকীর্তি ফাঁসের ঘটনা দেশজুড়ে তুমুল আলোচিত হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, বয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; শুরু হয় জোর তদন্ত।
এক সপ্তাহ না যেতেই বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে তার ১৭ বিয়ের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, কবির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজেই গণমাধ্যমকে বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কবির হোসেন। তবে কবে বরখাস্তের চিঠি পেয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।
এর আগে, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল কবির হোসেনের এক স্ত্রী খুলনার সোনাডাঙা এলাকার বাসিন্দা খাদিজা আক্তার বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিয়ের নামে প্রতারণা, যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালেও একই অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিলেন বাগেরহাটের মোংলার নাসরিন আক্তার দোলন, যা এখনও বিচারাধীন।
অভিযোগ পেয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর কবির হোসেনের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন চলাকালে অভিযোগকারীদের বক্তব্য নেন তদন্ত কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইদুর রহমান। ওইদিনই কাশিপুরে বন বিভাগের কোস্টাল সার্কেল অফিসে দুই স্ত্রীসহ স্বজনদের লিখিত জবানবন্দি নেওয়া হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর অভিযোগকারীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কবির হোসেনকে বিভাগীয় শাস্তির অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে বরখাস্ত হওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার বরিশাল মহানগর আদালতে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের তুষপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে কবির হোসেন পাটোয়ারী এর আগে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বন বিভাগের পদ ব্যবহার করে নারীদের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে তিনি এর আগেও দুবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। তবে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির সুপারিশে তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হন।
স্বামীর অফিসের সামনে এভাবে জড়ো হয়ে, ব্যানারসহ দাঁড়িয়ে স্ত্রীদের মানববন্ধন ও নারী বিষয়ক নানা কুকীর্তি ফাঁসের ঘটনা দেশজুড়ে তুমুল আলোচিত হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, বয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; শুরু হয় জোর তদন্ত।
এক সপ্তাহ না যেতেই বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে তার ১৭ বিয়ের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, কবির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজেই গণমাধ্যমকে বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কবির হোসেন। তবে কবে বরখাস্তের চিঠি পেয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।
এর আগে, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল কবির হোসেনের এক স্ত্রী খুলনার সোনাডাঙা এলাকার বাসিন্দা খাদিজা আক্তার বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিয়ের নামে প্রতারণা, যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালেও একই অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিলেন বাগেরহাটের মোংলার নাসরিন আক্তার দোলন, যা এখনও বিচারাধীন।
অভিযোগ পেয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর কবির হোসেনের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন চলাকালে অভিযোগকারীদের বক্তব্য নেন তদন্ত কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইদুর রহমান। ওইদিনই কাশিপুরে বন বিভাগের কোস্টাল সার্কেল অফিসে দুই স্ত্রীসহ স্বজনদের লিখিত জবানবন্দি নেওয়া হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর অভিযোগকারীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কবির হোসেনকে বিভাগীয় শাস্তির অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে বরখাস্ত হওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার বরিশাল মহানগর আদালতে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের তুষপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে কবির হোসেন পাটোয়ারী এর আগে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বন বিভাগের পদ ব্যবহার করে নারীদের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে তিনি এর আগেও দুবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। তবে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির সুপারিশে তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হন।